এপিলেপসি,গোদা বাংলায়-মৃগীরোগ বা স্নায়ু ঘটিত রোগ।এটি সেন্ট্রাল নার্ভাস সিসটেম বা মস্তিষ্কের একটি অসুখ যা অচেতন হয়ে পড়া ও পেশিসংকোচনের কারণে হয়ে থাকে।যারা মৃগীরোগে আক্রান্ত তাদের মস্তিষ্কের ইলেক্ট্রিক্যাল বা তড়িৎ কার্যকলাপ স্বাভাবিক নয়।
নিউরোনস নামক মস্তিষ্কের কোষগুলো তড়িৎ সিগন্যাল পরিচালনা করে এবং কেমিক্যাল ম্যাসেঞ্জার ব্যবহার করে মস্তিষ্কে একে অন্যের সাথে বার্তা বিনিময় করে। মৃগীরোগ যখন আক্রমন করে,ইলেক্ট্রিক্যাল ইমপালস উদ্দীপিত হয়।
লক্ষণঃ-
জাগ্রত অবস্থায় বা ঘুমন্ত অবস্থায় রোগের আক্রমণ ঘটতে পারে।মস্তিষ্কের কতটুকু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত তা দ্বারা চিকিৎসকেরা সিজারকে শ্রেণীবিভাগ করেন-
**পার্শল সীজারস–শুধুমাত্র মস্তিষ্কের একটি ছোট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে,
**জেনারালাইজড সিজারস- মস্তিষ্কের বেশির ভাগ কিংবা সকল অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে।
কিছু ক্ষেত্রে,সিজারস মাংশপেশির হঠাৎ ঝাঁকুনি,বেলাগাম অবস্থার পরিবর্তন, অচেতন হয়ে পড়া ইত্যাদি ঘটাতে পারে।তাছাড়া,শুধুমাত্র একটি ব্যাপক বিভ্রান্তি ও পেশির খিঁচুনি ঘটিয়ে থাকে। মৃগীরোগকে “সিজার ডিসঅর্ডার”ও বলা হয়। মৃগীরোগ কোন মানসিক রোগ বা দুর্বল বোধশক্তির লক্ষণ নয়।এটি সংক্রামকও নয়।
চিকিৎসা ব্যবস্থাঃ-
*চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনখাবেই কোন ঔষধ খাবেন না।
*ঔষধ যদি সিজারে সাহায্য না করে, তবে চিকিৎসক সার্জারি বা অন্য থেরাপি সুপারিশ করতে পারেন।
যে ঔষধগুলো সিজার প্রতিরোধে সাহায্য করে তাদেরকে অ্যান্টিকনভালস্যান্টস (anticonvulsants) বা অ্যান্টিএপিলেপ্টিস(antiepileptics) বলে।Acetazolamide, Lorazepam, Carbamazepine, Clobazam, Clonazepam, Diazepam, Phenytoin, Sodium Valproate, Gabapentin, Primidone, Piracetam, Oxcarbazepine, Perampanel, Phenobarbital, Topiramate ইত্যাদি মৃগীরোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।
এই ঔষধগুলো মৃগীরোগ পুরোপুরি নিরাময় করতে পারে না, কিন্তু এগুলো সিজার নিয়ন্ত্রণে খুব কার্যকর।