তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্নের পর থেকে রাজনৈতিক কারণে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের জোট হয়েছে। আবার ভেঙেও গেছে জোট।নির্বাচনে উভয় দলের পৃথকভাবে প্রার্থীতালিকা ঘোষণাই স্পষ্ট করে দিয়েছে ভাঙন।এই ভাঙনের জন্য তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসকে দায়ী করেছে। আর কংগ্রেসও দায়ী করেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে। অতীতে রাজ্যব্যাপী পরিবর্তনের হাওয়ায় নির্বাচনে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট বামফ্রন্টকে হারিয়ে ছিল।জোট ভাঙনের ফলে বাড়তি সুবিধা হয়েছিল বামফ্রন্টের।কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস জোট বেঁধে ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়েছিল। জোট বাঁধার কারণে ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও সাফল্য পেয়েছিল তারা।একইভাবে জোট বেঁধে চলছিল ৮১টি পৌরসভার নির্বাচনের প্রস্তুতি।কিন্তু ক্ষমতার মোহই সেই জোটে ভাঙন ধরিয়েছিল।2011 সালে বিধানসভার নির্বাচনে মা মাটি মানুষের সাথে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃবৃন্দ জোট বেঁধে ছিল। ঐক্যবদ্ধ লড়াই এ বাঙালার বুক থেকে সরে গিয়েছিল 34 বছরের বামফ্রন্ট শাসনের জগদ্দল পাথর।কার লড়াই বেশী ছিল কার সততা একনিষ্ঠ ছিল সে প্রশ্ন বৃথা তবে বাস্তবটা হল সে জোটও টেকেনি।
2016 বিধানসভার নির্বাচনে নজীর বিহীন সখ্যতা দেখা গিয়েছির বাম কংগ্রেসের। রাজনৈতিক স্বার্থেই মার্কসবাদ ও গান্ধীবাদ মিলে গিয়েছিল বাঙলায়। আশাবাদী বিভিন্ন মহল সংবাদ মাধ্যম এক্সিটপোল এই জোটকে বাঙলার মসনদে প্রায় বসিয়েই দিয়েছিল।কিন্তু পরিনতি, আবার একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে বাঙলার মসনদে এল মমতা ব্যাণার্জীর সরকার।
তারপর থেকেই প্রায় কয়েকমাস যাবদ চলেছে দলবদলের হিরিক।সাথেসাথে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিভিন্ন পৌরসভা ও পঞ্চায়েত দখল।কংগ্রেসের ও সিপিএম এর কাছে এটা ছিল নোংরা রাজনীতি ও তৃণমূলের কাছে ছিল শুদ্ধিকরণ বা উন্নয়নের কর্মকান্ডে সকলকে সামিল করার প্রচেষ্টা।এটা কতটা নৈতিক কতটা অনৈতিক সে কথায় না গিয়ে বলি দুজনের সম্পর্ক প্রায় সাপে নেউলের পর্যায়ে পৌঁছালো।
সাম্প্রতিক বিজেপিকে ঠেকাতে নয়া কৌশল মমতার।ফের কাছাকাছি কংগ্রেস-তৃণমূল কংগ্রেস।
অল্প সময়ের জন্য হলেও বাংলায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পারস্পরিক তিক্ততা তৈরি হয়েছিল দুই শিবিরেই। কিন্তু অচিরে তার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় রাজনীতির বাধ্যবাধকতায় ফের কাছাকাছি আসছে কংগ্রেস ও তৃণমূল।কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার তথা বিজেপি-কে ঠেকাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে পাওয়ার আগ্রহ বরাবরই ছিল সনিয়া-রাহুলের।এ বার সেই একই স্বার্থের প্রতি আগ্রহ দেখানোর ইঙ্গিত দিলেন তৃণমূল নেত্রীও।
কালীঘাটের বাড়িতে দলের নেতাদের বৈঠকে ডেকেছিলেন। দিদি বলেন, শুধু বাংলায় নয়, বিজেপি-র মোকাবিলা করতে হবে দিল্লিতেও। সে জন্য একটি ফ্রন্ট গড়ে তুলতে হবে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে।কীভাবে সেই ফ্রন্ট গড়ে তোলা যাবে তার কৌশল ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মমতা বলেন, আগের তুলনায় কংগ্রেস এখন দুর্বল ঠিকই।কিন্তু তাদের বাদ দিয়ে কোনও শক্তিশালী ধর্মনিরপেক্ষ জোট গঠন করা সম্ভব নয়। তাই সমন্বয় করে চলতে হবে কংগ্রেসের সঙ্গেও।সংসদের ভিতরে ও বাইরে কংগ্রেস এবং অন্য ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় রাখার সেই দায়িত্ব তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলনেত্রীর এই সিদ্ধান্ত জাতীয় রাজনীতির পক্ষে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। মোদী সরকারের সাম্প্রতিক একাধিক পদক্ষেপ ও নীতির বিরুদ্ধে সম্প্রতি কংগ্রেস ও তৃণমূলকে কক্ষ সমন্বয় করে বিজেপি বিরোধী আক্রমণে নামতে দেখা যাচ্ছে।
বিজয়া দশমীর পর প্রথম তৃণমূলের নীতি নির্ধারণ কমিটির বৈঠক ডাকেন মমতা।বাংলায় ইদানীং বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবার যে ধরনের মেরুকরণের রাজনীতিতে সক্রিয়, তাতে দলের নেতারা আগাম ধরে নিয়েছিলেন, গেরুয়া শক্তিকে মোকাবিলার পথ খোঁজাটাই মুখ্য হয়ে উঠতে পারে বৈঠকে।বাস্তবে তাই হল। বৈঠক শুরু হতেই মোদী সরকার ও সঙ্ঘ পরিবারের ‘সাম্প্রদায়িক’ রাজনীতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।সেই সূত্র ধরেই বিজেপি-কে মোকাবিলার করার রণকৌশল দলের সামনে ফেলেন মমতা।বলেন, এ ব্যাপারে ত্রিমুখী কৌশল নিয়ে চলতে হবে।এই সিদ্ধান্তের প্রতিফলন আমরা প্রত্যক্ষ করেছি রাজ্যে বিগত উপ-নির্বাচনে কেন্দ্র করে। বিজেপি যাতে কোথাও অশান্তি ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি করতে না পারে,সে জন্য ৩ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত চলেছিল বাংলার প্রত্যেক ব্লকে ব্লকে পথসভা।বাংলায় সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট করতে বিজেপি-র প্ররোচনা ও কেন্দ্রের বঞ্চনার রাজনীতির বিরুদ্ধে ১৬ নভেম্বর সংসদের ঠভউভয় কক্ষে সরব হয়েছিল তৃনমুল সাংসদরা।
সংসদীয় রাজনীতির কৌশল প্রসঙ্গে এ দিন কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত দলকে জানান তৃণমূলনেত্রী। দলীয় নেতাদের মমতা বলেন, কোনও একটি ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির পক্ষে একক ভাবে বিজেপি-র মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।একা নীতীশ কুমার যেমন বিজেপি-র সঙ্গে এঁটে উঠতে পারবেন না, তেমনই মুলায়ম-অখিলেশদের পক্ষেও তা একক ভাবে সম্ভব নয়। তাই সবকটা আঞ্চলিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে নিয়ে একটা ফ্রন্ট তৈরি করতে হবে।সঙ্গে নিতে হবে কংগ্রেসকেও।
সূত্রের মতে, কংগ্রেস সম্পর্কে মমতার এই কথাটাই এ দিন সবথেকে বেশি কানে বাজে তৃণমূলের নেতাদের। পরে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, পরবর্তী লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেস ও তৃণমূলের কাছাকাছি আসার ব্যাপারে একটা সম্ভাবনা ছিলই। বাংলায় বিজেপি’র মেরুকরণের রাজনীতির তীব্রতাই উভয়ের কাছাকাছি আসার সময়টা আরও এগিয়ে দিলো বলে মনে হয়।
স্বাভাবিক ভাবেই এতে খুশি কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।দলের ওয়ার্কিং কমিটির এক সদস্য এ-ও বলেন, কেন্দ্রে মোদী সরকার গঠনের পর থেকে মমতার কাছে এই রাজনীতিটারই প্রত্যাশা ছিল সনিয়া গাঁধীর। কিন্তু তৃণমূলনেত্রীই আশাহত করেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রীকে।কারণ গত দু’বছর ধরে বিভিন্ন বিষয়ে সংসদের ভিতরে ও বাইরে উল্টে বিজেপি’র সঙ্গে কক্ষ সমন্বয় করে চলছিল তৃণমূল।প্রাথমিক ভাবে তাতেই মানসিক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল উভয় শিবিরে।পরে বিধানসভা ভোটের সময় তিক্ততাও তৈরি হয়েছিল।তবে বাংলায় ভোট মিটতেই তা কমিয়ে আনতে চেষ্টা শুরু করে হাইকম্যান্ড।তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সৌজন্যের রাজনীতি বজায় রাখাও শুরু হয়েছিল এআইসিসি-র তরফে।শেষে অভিষেকের দুর্ঘটনার খবর শুনে হাইকম্যান্ডের ফোনও আসে কালীঘাটে। কারণ, সনিয়া বুঝতে পারছিলেন জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি’কে কোণঠাসা করতে হলে মমতা-নীতীশদের সঙ্গে সম্মিলিত পদক্ষেপ করা ছাড়া গতান্তর নেই।
তৃণমূলের তাগিদটাও জলের মতো স্বচ্ছ।দলের এক শীর্ষ সারির নেতার কথায়, আসলে বাংলার স্বার্থেই এখন জাতীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট গঠনে আগ্রহী দিদি।তৃণমূলনেত্রী বুঝতে পারছেন, বিজেপি তথা সঙ্ঘ পরিবারকে শুধু বাংলায় মোকাবিলা করলে চলবে না।জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি সফল হলে তার প্রভাব পড়বে বাংলাতেও।এ রাজ্যে গেরুয়া বাহিনীর জনপ্রিয়তা ও দাপট তাতে আরও বাড়তে পারে।সেই কারণেই এ বার সর্বভারতীয় রাজনীতিতে মোদী-অমিত শাহদের কোণঠাসা করতে চাইছেন মমতা।তাই নীতীশ-অখিলেশদের পাশাপাশি কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর কথাও বলছেন।কারণ, কংগ্রেস ছাড়া জাতীয় স্তরে ধর্মনিরপেক্ষ জোট হলে সেটা যে শক্তিশালী হতে পারবে না এটা মমতার অজানা নয়।
ফের কাছাকাছি আসছে কংগ্রেস-তৃণমূল।
এর মধ্যে ৮ই নভেম্বর মধ্যরাত থেকে মোদীজি ঘোষণা করেন পুরনো 500/1000 এর নোট চলবেনা। দেশজুড়ে 16টা বিরোধীদল আন্দোলনের ডাক দিলো।সনিয়া গান্ধীর ডাকে সাড়া দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে জোটবদ্ধভাবে লড়াই করার কর্মসূচি ঠিক করতে দিল্লীতে ২৭ নভেম্বর বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের বৈঠক ডাকলেন সনিয়াজী৷কংগ্রেস সভানেত্রীর আমন্ত্রণ স্বীকার করে সেই বৈঠকে থাকলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷কংগ্রেসকে ধরে মোট আটটি দল বৈঠকে থাকতে সম্মত হলেন- নীতীশ কুমারের জেডি ইউ, লালু প্রসাদের আরজেডি, দেবগৌড়ার জেডি এস এবং এআইইউডিএফ৷ বাম ও ডিএমকে-ও বৈঠকে থাকলেন৷ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন সনিয়া৷ দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বিরোধীদের এই বৈঠকের পর যৌথ সাংবাদিক সম্মেলন করেন তারা৷সেখানে সনিয়া, রাহুল, মমতা-সহ বিরোধী নেতা-নেত্রীরাও ছিলেন৷ নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসার পর সংসদের বাইরে এতগুলি বিরোধী দলের বৈঠক এই প্রথম৷ সদ্যসমাপ্ত শীত অধিবেশনে সংসদের ভিতর পনেরোটি বিরোধী দল একসঙ্গে লোকসভা ও রাজ্যসভায় নরেন্দ্র মোদী তথা বিজেপি’র মোকাবিলা করেছে৷বিরোধীদের সেই ঐক্য যাতে এ বার সংসদের বাইরেও থাকে, তা নিশ্চিত করার কাজ শুরু করেছেন সনিয়া৷ সে জন্যই এই বৈঠক৷
নিঃসন্দেহে, সনিয়া ও রাহুলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি বৈঠককে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছিল৷ সনিয়ার ডাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেও দিল্লিতে এসেছেন৷ জওহরলাল নেহরুর ১২৫ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে তিনি ছিলেন৷ কিন্তু গত বিধানসভা নির্বাচনে রাহুলের সম্মতিতে কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত বামেদের সঙ্গে হাত মেলানোয় সেই সম্পর্কে কিছুটা দূরত্ব দেখা দেয়৷ নোট বাতিলের পর ফের সেই ফাটল অনেকটাই জোড়া লেগেছে৷ সংসদে একসঙ্গে আন্দোলন থেকে শুরু করে রাহুলকে নিয়ে মমতার টুইট, সবকিছু তারই প্রমাণ৷ এ বার সনিয়ার ডাকে মমতার সাড়া দেওয়ায় সেই সখ্য অন্য মাত্রা পেল নিঃসন্দেহে৷ কারণ, নরেন্দ্র মোদী নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর থেকে তৃণমূল নেত্রীই সবথেকে বেশি সোচ্চারে প্রতিবাদ করেছেন৷ শুধু বাংলায় নয়, উত্তর প্রদেশ ও বিহারে গিয়েও জনসভা করে এসেছেন৷ তাই মমতার উপস্থিতি সনিয়ার ডাকা বৈঠককে বাড়তি তাত্পর্য আনে।
সংসদের শীত অধিবেশনের শেষ দিনে বিরোধী ঐক্যে ফাটল ধরিয়ে রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন৷ যে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তিনি পুরো অধিবেশন জুড়ে আক্রমণ শানিয়েছেন। বিরোধীরাও তাঁর পাশে থেকেছে। সনিয়াকেও হাল ধরতে হয়েছে৷ এই ধরনের বৈঠক যে হবে, তা আগেই ঠিক হয়েছিল৷ কারণ, বিরোধী দলগুলি বুঝেছে,যত তাঁরা একসুরে কথা বলবে ততই নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণ বিশ্বাসযোগ্যতা পাবে৷নচেত্ কংগ্রেস বা রাহুল একক বক্তব্যের প্রভাব অতটা গভীরভাবে পড়বে না৷
বিরোধী নেতারা সনিয়ার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে ছিলেন। একটা নয়, এই ধরনের বৈঠক বেশ ঘন ঘন প্রয়োজন৷ তাতে বিরোধী দলের মধ্যে একসঙ্গে আন্দোলন ও কর্মসূচি নেওয়াটা কাজটা সহজ হবে।
কংগ্রেস চাইছে, বিরোধীদের জোটবদ্ধ হওয়াটা শুরু তো হোক৷কী ভাবে তারা এগোবে, তা ঠিক হোক৷ পরে আরও দল সেখানে যোগ দিতেই পারে৷
জাতীয় রাজনীতির প্রোয়জনীয়তা অনুসারে কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেস এক সাথে পাশাপাশি। বাঙলার রাজনীতি সবসময় জাতীয় রাজনীতির থেকে একটু আলাদা।বাঙলাও কি তাহলে দেখতে পাবে আগামী দিনে আবদুল মান্নান আর মানস ভূঞিয়া পায়ে পা মেলাচ্ছেন অথবা মমতা দেবীর সাংবাদিক সম্মেলনে পাশের চেয়ারটায় শ্রীযুক্ত অধীর রঞ্জন চৌধূরী অবস্থান করছেন????