জীবন যাপন টেবিলঃ ছোট একটুকরো চকোলেট অনেক কিছু বদলে দিতে পারে! চিকিৎসকরা সেটাই বলছেন! চকোলেটের কথা উঠলেই আমার দুটি দেশের কথা প্রথমে মনে আসে- সুইজারল্যান্ড ও সুইডেন। সুইজারল্যান্ডে গড়ে প্রতি মানুষ ১২ কিলোগ্রাম চকোলেট খেয়ে থাকে আর সুইডেনে গড়ে ৬ কিলোগ্রাম।মজার ব্যাপার হলে এই দুই দেশ থেকেই এসেছে সবচাইতে বেশি নোবেল বিজয়ী।
চকোলেটের সঙ্গে বুদ্ধিমত্তার কি সংযোগ আছে এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে নিউ ইয়র্কের গবেষক ফ্রান্স মেসের্লি গবেষণা শুরু করেন এবং নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অফ মেডিসিন পত্রিকায় গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেন। সব মিলিয়ে ২৩টি দেশের ওপর পরীক্ষা চালায় মেসের্লি। যে সমস্থ চকোলেটে ৭০% কোকো আছে সেই চকোলেট খেলে মানব শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
নানা বৈজ্ঞানিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে চকোলেটের উপাদান মানুষের কর্মদক্ষতায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিজ্ঞানের জগতে চকোলেটের গুনাগুন নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে। বিশেষ করে কালো ও তেতো চকোলেটের প্রভাব নিয়ে। আসল রহস্যটা লুকিয়ে রয়েছে কোকো দানার ভেতর থাকা “ফ্লাভোনয়েডস” উদ্ভিজ্জ উপাদানে। “ফ্লাভোনয়েডস” এর রয়েছে সংক্রমন প্রতিরোধ ক্ষমতা। এছাড়া রক্তের চর্বি নিয়ন্ত্রন, এলডিএল ও উচ্চরক্তচাপ কমায়। বার্ধক্যের গতি মন্থর করে এবং স্মৃতিশক্তি ও মানসিক দক্ষতা বাড়িয়ে তোলে।
বিশিষ্ট জার্মান পুষ্টি বিশেষজ্ঞ আঙ্গেলা বেষ্টহোল্ট বলছেন, চকোলেট সুখানুভুতির হরমোন- ‘সেরোটোনিন’কে উজ্জীবিত করে তাই সুখি হতে দেদার চকোলেট খেয়ে যান। চকোলেট আরও অনেক কাজে আসে- মুখের মাস্ক, বাথ কিংবা ম্যাসেজে চকোলেট ব্যবহারে দারুন ফল মেলে।