মাধ্যমিক মাধ্যামিক পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে।সামনেই উচ্চ মাধ্যমিক। তাই আমাদের প্রিয় ছাত্র ছাত্রী তথা পরীক্ষার্থী দের জন্য রইল শেষ মুহুর্তের কিছু প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
১) চেনা পরিচিত পরিবেশের বাইরে গিয়ে এটা জীবনের প্রথম পুঁথিগত পরীক্ষা।তাই হাতে একটু বেশি সময় নিয়েই বাড়ি থেকে বেরোনো ভালো।
২) মাধ্যমিক শুরু বেলা ১২.০০ টা থেকে।অবশ্য তোমরা প্রশ্নপত্র হাতে পাবে ঠিক পৌনে বারোটায়(১১.৪৫)।লেখা শুরু করার জন্য নির্ধারিত উত্তরপত্র পাবে ঠিক বারোটা বাজার সামান্য আগে।
৩) খুব সাবধানে উত্তরপত্রে প্রদত্ত নির্ধারিত জায়গায় প্রথমে বিষয়,তারপরে নাম,তারপরে রোল এবং নম্বর আর সবার শেষে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখবে।
৪) দেখো,কাটাকুটি যেন না হয়,ওভার রাইটিং যেন না হয়।
৫) খাতায় পর্যাপ্ত মার্জিন রেখে লেখা শুরু করো।
৬) মাধ্যমিকে অনেকগুলো বিভাগ।তাই লেখা শুরুর আগে খেয়াল করে বিভাগ উল্লেখ করবে।ঠিক ঠাক প্রশ্ন নম্বর লিখবে।
৭) একই বিভাগ থেকে আসা সমস্ত প্রশ্ন অতি অবশ্যই পরপর করবে।যদি সেই উত্তর লেখার সময় মনে না পড়ে,বা মনে হয় পরে আরও লিখবে,তাহলে প্রয়োজন মত জায়গা ছেড়ে রাখবে।পরে মনে পড়লে আবার লেখার সু্যোগ থাকবে।
৮) প্রশ্নের উত্তর লেখার সময় পারলে প্রশ্নের শুরুর লাইন টা লিখে উত্তর দেবে।যেমন ধর,প্রশ্ন এসেছে….সিপাহী বিদ্রোহ কবে হয়েছিল?যখন উত্তর লিখবে,তখন এভাবে শুরু করবে….সিপাহী বিদ্রোহ হয়েছিল-১৮৫৭ খ্রীস্টাব্দে।অর্থাৎ প্রশ্নটাকেই হেডিং এর মত করে উত্তর শুরু করবে।যাতে খাতা দেখার সময় এক্সামিনার এর অসুবিধা না হয়।সোজা কথায় ‘খেই’ধরিয়ে দিলে খাতা দেখার ক্ষেত্রে বেশ সুবিধে হয়।
৯) একটি বিভাগের উত্তর শেষ হয়ে গেলে পরিস্কার করে লাইন টেনে দেবে।যাতে বোঝা যায় ঐ বিভাগ থেকে আর কোনো উত্তর লেখা আর বাকি নেই।
১০) ১ বা ২ নম্বর প্রশ্নের জন্য ছবি আঁকার প্রয়োজন নেই(
বিজ্ঞান বা সমাজ বিজ্ঞানের বিষয় গুলোর জন্য)।
যদি দু নম্বর এর বেশি নির্ধারিত থাকে,তাহলে আঁকতে পারো।টীকা জাতীয় প্রশ্ন ছবি প্রত্যাশা করে।
(ক্রমশ…..)