সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ১৮ই জানুয়ারি থেকে কেন্দুলিতে বাউল ও লোক উৎসবের শুভ সূচনা করেন।এখানে লোক প্রসার প্রকল্পের অধীনে এক হাজার(১০০০) বাউল শিল্পী সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন। আগামী দিনে বীরভূমের দেউচাপাচামি, দেওয়ানগঞ্জ,হরিণশিঙা কয়লাখনি প্রকল্পটি রুপায়িত হলে(২১০ কোটি)বেঙ্গল বীরভূম কোল্ডফিল্ডস লিমিটেডের দৌলতে পশ্চিমবঙ্গ দেশের বৃহত্তম কয়লাখনি পাবে।২০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে,হাজার হাজার মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান এর সুযোগ হবে,খনি এলাকার সামগ্রিক উন্নয়ন হবে,কিন্তু সেই বীরভূমের মানব খনিগুলোর দুর্দশা কতদূর ঘুচবে, সেটা ইতিহাসই বলবে। অবশ্য সাধু প্রচেষ্টার খামতি নেই,সদিচ্ছাও হয়তো আছে। সেই কারনেই কেন্দুলির মঞ্চ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষিত হয়েছে,যেমন জয়দেব একাডেমী,জয়দেব মন্দিরের স্নস্কার,মেলার তোরণদ্বার ইত্যাদি।
কেন্দুলি মেলা অনেকের কাছে আজ নেহাতই একটা “ফর্ম অফ আর্ট” নয়, “অ্যাডিকশান” ।এত কিছুর পরেও বছরের ঐ নির্দিষ্ট দিনে ও সময়ে রসগ্রাহী মানুষ জড়ো হয় তমালতলীতে,মনের মানুষ বা অসংখ্য ছোট ছোট আখড়াগুলোতে, ওদিকেও ধুনি জ্বলে, ধ্বনি চলে, রস গাঢ় থেকে গাঢ়তর হয়।সে আড়াল টপকানোর গল্প,না হয়, সেকালে পৌঁছে শোনায় একালের মানুষরা।
**যদি আমাদের এই প্রতিবেদন আপনাদের মনকে ছুঁয়ে যায়, তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুচিন্তিত মতামত জানাবেন।