এদিকে বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসে নগেন্দ্রকে লেখা কুন্দর চিঠি শুধু সাহিত্যই নয় বাংলার তত্কালীন সমাজ ও সংস্কৃতিক জীবন চর্চার এক দলিল বিশেষ। এই বঙ্কিমই আবার ‘বঙ্গদর্শন’-এ এক চিঠিতে অপর এক সমসাময়িক কবিবরকে তুলোধনা করেছেন। বঙ্কিম লিখেছেন- “দামোদর নদ বন্যায় গ্রাম নষ্ট করিয়াছে। তজন্য কবি নদকে ভৎসনা করিয়াছেন। আমরা ভরসা রাখি নদ এমন দুষ্কর্ম আর করিবে না। কিন্তু কবিকে জিজ্ঞাসা করি, একের অপরাধে পরের দন্ড কেন? দামোদর নদ দুষ্কর্ম করিয়াছে বলিয়া, আমরা পঁচিশ পাতা নীরস কবিতা পড়িয়া মরি কেন?” সেই বঙ্কিমের উপন্যাসে চঞ্চল কুমারীর চিঠি যাচ্ছিল রানা রাজসিংহের কাছে। পথে দস্যু মানিকলালের অনুপ্রবেশ এবং বেশ লোমহর্ষক পরিস্থিতি সৃষ্টি। তেমনি রবি ঠাকুরের ‘শাপমোচন’ নৃত্যনাট্যে গন্ধর্ব সৌরসেন স্থলিত ছন্দ সুর সভার অভিশাপে বিকৃত দেহের গান্ধার। রাজকুমার কমলেশ্বর রূপে জন্মগ্রহণ করে। তেমনি তার প্রেয়শ্রী মধুশ্রীর জন্ম হয় মত্তর্রাজকূলে পরমা সুন্দরী কমলিকা রূপে। সেখানেও গান্ধার দূত বিবাহ প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গে এক অপূর্ব চিঠি ও একটি বাঁশী নিয়ে মত্তর্রাজসভায় উপস্থিত হয়েছিল।
(ধারাবাহিক)